এ বছরের ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই থ্রিজি সেবার উদ্বোধন করা হবে। এমন কথাই জানালেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজউদ্দিন আহমেদ রাজু। আসছে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ফোরজি সেবার উদ্বোধন করা হবে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে দেশকে তথ্যপ্রযুক্তিতে আরও এগিয়ে নিতে সরকার এসব উদ্যোগ নিচ্ছে।
টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী যতদ্রুত সম্ভব ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে অচিরেই বাংলাদেশে থ্রিজি এবং ফোরজি সেবা চালুর প্রক্রিয়া চলছে। বাংলাদেশের মানুষের জন্য অনলাইন সেবা জীবনকে আরও সহজ করবে। সারাবিশ্ব আজ অনলাইনেই সব কাজ করছে। আমাদেরকেও তা পারতে হবে। যারা এ অনলাইন জগতে পিছিয়ে থাকবেন তাদের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হবে।
১৭ জুলাই মঙ্গলবার ঢাকার বারিধারায় জামালপুর টাওয়ারে ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস (ইউআইটিএস) ক্যাম্পাসে ইলেক্টোফেস্ট ২০১২ আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলে সংযুক্ত হতে দেরি হওয়ায় আমরা অনলাইনে পিছিয়ে পড়েছি। আর পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের যেসব মুঠোফোন সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠান দ্বিতীয় প্রজন্মের (টুজি) বা ২ দশমিক ৫জি প্রযুক্তিনির্ভর নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে, তাদের নেটওয়ার্কে সামান্য উন্নয়ন করেই থ্রিজি সেবা প্রদান করা সম্ভব। এরই মধ্যে থ্রিজির খসড়া নীতিমালা চূড়ান্ত হয়েছে। নীতিমালায় কিভাবে থ্রিজি সার্ভিস চালু করা হবে তার বিস্তারিত উল্লেক আছে।
এ মুহূর্তে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান টেলিটক, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি, এয়ারটেল এবং সিটিসেল দ্বিতীয় প্রজন্মের (টুজি) সেবা দিচ্ছে। বিশ্বের বহু দেশে টুজির সঙ্গে থ্রিজি মোবাইল চালু হয়েছে। কিছু দেশে তো ফোরজি মোবাইল সেবা দেওয়া
হচ্ছে।
বাংলাদেশে থ্রিজি এবং ফোরজি সেবা চালু হলে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা থাকায় গ্রাম পর্যায়েও মানুষ ইন্টারনেট সুবিধা পাবেন। এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউআইটিএসয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন পিএইচপি গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ইউআইটিএস’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারমান সূফী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন ইউআইটিএস’র উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান, বাংলালায়ন কমউনিকেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নেইল গ্রাহাম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।